Class -৪ geography fourth submative evaluation
মানুষের কার্যাবলী ও পরিবেশের অবনমন
১) নিজের বাক্য গুলির উত্তর দাও।
১.১) পরিবেশের অবনমন বলতে কী বোঝো ?
উঃ যে প্রক্রিয়ায় পরিবেশের গুণমানের হ্রাসের ফলে জল, বায়ু ও মৃত্তিকা প্রভৃতি প্রাকৃতিক সম্পদ তথা জীবজগৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বাস্তুতন্ত্র ব্যাহত হয় তাকে পরিবেশ অবনমন বলে।
যেমনঃ অতিরিক্ত বৃক্ষ ছেদনের ফলে ভূমিক্ষয়, বন্যা, জীববৈচিত্র্য হ্রাস প্রভৃতি।
১.২) পরিবেশের অবনমন কিভাবে ঘটে তা লেখ।
উঃ পরিবেশের অবনমন ঘটে সাধারণত দুইভাবে- ক) প্রাকৃতিক এবং খ) মনুষ্য সৃষ্ট কারণে পরিবেশের অবনমন ঘটে থাকে।
ক) প্রাকৃতিক কারণঃ
ঝড়, বন্যা, করা, ভূমিকম্প, সুনামি, ধস প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ভূপ্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তন হয়। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশের অবনমন ঘটে থাকে। এর ফলে মানুষ তথা বিভিন্ন প্রাণী, উদ্ভিদ, আণুবীক্ষণিক জীবের স্বাভাবিক জীবনচক্র ব্যাহত হয়। ভূপৃষ্ঠের গঠন পরিবর্তিত হয়। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, সম্পত্তি ধ্বংস হয়, জীবনহানি ঘটে। জীববৈচিত্র্য আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়।
মনুষ্যসৃষ্ট কারণঃ
আধুনিক কৃষি, শিল্প, পরিবহন, নানান উন্নয়ন কার্যকলাপ পরিবেশের স্বাভাবিক চক্রকে ব্যাহত করে। অবৈজ্ঞানিক কৃষি উৎপাদন, শিল্প বর্জ্য, অপরিকল্পিত নগরায়ন, নদীর স্বাভাবিক গতি রোধ করে জলধারা নির্মাণ, বৃক্ষছেদন পরিবেশের নানান সমস্যার সৃষ্টি করে আর পরিবেশের অবনমন ঘটায়।
১.৩) স্থিতিশীল উন্নয়ন কাকে বলে ?
উঃ যে বিশেষ পদ্ধতিতে পরিবেশের ক্ষতি না করে পরিবেশের উন্নয়ন করা হয় তাকে স্থিতিশীল উন্নয়ন বলে।
স্থিতিশীল উন্নয়নে, উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ দুটোই করতে হবে। তাই পরিবেশ বান্ধবের কথা ভাবতে হবে।
১.৪) চিপকো আন্দোলন টীকা লেখ।
উঃ ১৯৭৩ সালে উত্তরাখণ্ডের গারোয়াল অঞ্চলের অধিবাসীরা অরণ্যকে রক্ষা করার জন্য এক অনন্য অহিংস আন্দোলন শুরু করেছিল। বনবিভাগের ঠিকাদাররা গাছ কাটতে গেলে অধিবাসীরা গাছকে জড়িয়ে ধরে কাটার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। এই আন্দোলন চিপকো আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুন্দরলাল বহুগুনা।
১.৪) হোমিওস্ট্যাটিক ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ?
উঃ প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভিন্ন ভৌত ও জৈব প্রক্রিয়াগুলি এমনভাবে কাজ করে যাতে পরিবেশের কোন অংশে ক্ষতি বা পরিবর্তন হলে তা নিজে থেকেই পূরণ হয়ে যায়, একেই হোমিওস্ট্যাটিক ব্যবস্থা বলে।
১.৫) পরিবেশ দূষণ আর পরিবেশের অবনমন কি এক ? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।
উঃ পরিবেশ দূষণ আর পরিবেশ অবনমন এই দুটি বিষয় পরিবেশের গুণমান হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত। অনেক সময় এই দুটি বিষয়কেই এক করেই দেখা হয়। কিন্তু বিষয় দুটি কিছুটা আলাদা। পরিবেশ দূষণ হলো প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কার্যের ফলে সৃষ্ট পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের দূষিত হওয়া। আর পরিবেশের সামগ্রিক গুনমানের হ্রাস হল পরিবেশ অবনমন।
১.৬) পরিবেশ অবনমনের ফলাফল গুলি লেখ।
উঃ পরিবেশে অবনমনের ফলে পরিবেশে যে পরিবর্তনগুলি লক্ষ্য করা যায় তা হল- ক) ভূমিকম্প খ) জল দূষণ ও জলাভাব গ) জীব-বৈচিত্র্য হ্রাস ঘ) রাসায়নিক দুর্ঘটনা ঙ) বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তন চ) বন্যা ছ) প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস জ) মুদ্রাস্ফীতি, চাহিদা যোগানের ভারসাম্য হ্রাস ঝ) বায়ুদূষণ ঞ) খরা প্রভৃতি।
১.৭) পরিবেশ অবনমন নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলি লেখ।
উঃ পরিবেশ অবনমন নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলি হলো -
ক) পরিবেশ অবনমনের অন্যতম প্রধান কারণ হলো শিক্ষার অভাব ও দারিদ্র্য। উন্নয়নশীল দেশগুলিকে পরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে।
খ) মানুষকে শিক্ষিত সচেতন করতে হবে।
গ) উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব শক্তি বেশি ব্যবহার করতে হবে।
ঘ) সম্পদের ব্যবহার করতে হবে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য দ্রব্যের প্রবণতা বাড়াতে হবে।
ঙ) মাথাপিছু শক্তির ব্যবহারের পরিমাণ কমাতে হবে।
চ) জনসংখ্যা আর দেশের সম্পদের মধ্যে যাতে ভারসাম্য থাকে তার লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
ছ) সরকারি পরিকল্পনা গ্রহণের আগে তার পরিবেশগত প্রভাব চিহ্নিত করা দরকার।
জ) জীবমন্ডলের বৈচিত্র্য যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ঝ) সর্বোপরি দেশের সরকারকে পরিবেশ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য কঠোর নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
১.৮) স্থিতিশীল উন্নয়নের উদ্দেশ্য কি ?
উঃ স্থিতিশীল উন্নয়ন হল এমন এক ধরনের উন্নয়ন পদ্ধতি যার উদ্দেশ্য বর্তমানে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা এবং উন্নয়নের সাথে সাথে ভবিষ্যতের মানব সমাজের উন্নয়নের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা।
১.৯) সভ্যতা বিবর্তনের ফলে পরিবেশের প্রভাব বর্ণনা কর।
উঃ
Comments
Post a Comment
Haven't doubt please let me know.