পরিবেশ ও বিজ্ঞান ষষ্ঠ শ্রেণী

      পরিবেশ ও বিজ্ঞান 

   তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন 

                            ষষ্ঠ শ্রেণী 

ক) পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও।

১) একটি তরল ধাতুর নাম লেখ।

উঃ পারদ 

২) তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী একটি অধাতুর নাম লেখ।

উঃ গ্রাফাইট 

৩) তাপের সুপরিবাহী একটি অধাতুর নাম কি ?

উঃ হিরে

৪) একটি মিশ্র পদার্থের উদাহরণ দাও।

উঃ বায়ু,দুধ 

৫) একটি যৌগিক পদার্থের নাম লেখ।

উঃ জল

৬) ম্যাগনেসিয়াম ধাতুকে বাতাসে জ্বালানো হলে কি উৎপন্ন হয় ?

উঃ ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড 

৭) পরমাণু কাকে বলে ?

উঃ মৌলের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে ওই মৌলের রাসায়নিক গুণ বর্তমান থাকে, সেই ক্ষুদ্রতম কণাকে মৌলের পরমাণু বলে।

৮) বাতাসে অবস্থিত কয়েকটি নিষ্ক্রিয় গ্যাসের নাম লেখ।

উঃ হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন, ক্রিপটন ইত্যাদি।

৯) প্রকৃতিতে কয়টি মৌল পাওয়া যায় ?

উঃ ৯৪ টি।

১০) চিনি ও জলের দ্রবণে দ্রাব ও দ্রাবক কোনটি লেখ।

উঃ চিনি হল দ্রাব আর জল হল দ্রাবক।

১১) কাদাজল কোন পদ্ধতিতে জল ও কাদাকে পৃথক করবে ?

উঃ পরিস্রাবণ 

১২) কোন দ্রবণ থেকে কঠিন পদার্থের কেলাস তৈরির পদ্ধতিকে কি বলে ?

উঃ কেলাসন 

১৩) পটাশিয়ামের চিহ্ন কি ?

উঃ K

১৪) সংকেত লেখঃ মিথেন, অক্সিজেন

উঃ

১৫) লবণ, বালি ও লোহার গুঁড়োর মিশ্রণ থেকে কিভাবে উপাদানগুলি পৃথক করবে ?

উঃ

১৬) ম্যাগনেসিয়াম ফিতাকে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে দহন করলে কি ঘটবে ?

উঃ ম্যাগনেসিয়াম ফিতাকে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে দহন করলে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন করবে।

          সাধারণ যন্ত্রসমূহ

১) একটি সরল যন্ত্রের নাম লেখ।

উঃ বেলচে

২) একটি জটিল যন্ত্রের উদাহরণ দাও।

উঃ সেলাইমেশিন, কম্পিউটার 

৩) নততল কাকে বলে ?

উঃ মাটির সঙ্গে সূক্ষ্মকোণে রাখা সমতল পাটাতনকে নততল বলে। যেমন- হেলিয়ে রাখা মই, সিঁড়ি, ব্রিজ ইত্যাদি।

৪) ভূমি ও নততলের মাঝের কোণ যত ছোট হবে নততলের সুবিধা তত বেশি হবে( সত্য/ মিথ্যা)।

উঃ সত্য

৫) কপিকল কি ?

উঃ কপিকল হল একটি শক্তপোক্ত চাকা। যার সাহায্যে কোন ভারী বস্তুকে খুব সহজেই টেনে উপরের দিকে তোলা যায়।

৬) কিভাবে যন্ত্রের পরিচর্যা করা যায় লেখ।

উঃ ক) যন্ত্রের যে অংশে বেশি ঘর্ষণ হয় সেই অংশ দ্রুত ক্ষয় হতে থাকে তাই ঘর্ষণ কমাতে গ্রিজ লাগানো উচিত।

খ) লোহার তৈরি যন্ত্র জলীয় বাষ্পের হাত থেকে রক্ষা করা দরকার, নাহলে মরচে ধরবে। তাই তেল রং করা দরকার।

গ) কাজের পর যন্ত্রকে নিয়মিত পরিষ্কার করে রাখা দরকার।

৭) পেরেক ও স্ক্রু কোনটির ব্যবহার সুবিধাজনক এবং কেন ?

উঃ পেরেক অপেক্ষা স্ক্রু'র ব্যবহার অনেক বেশি সুবিধাজনক।

       স্ক্রু'র গায়ে যে ধাতব প্যাঁচ থাকে সেটি হল নততল। স্ক্রুর মধ্যে লুকিয়ে থাকা নততলের জন্যই পেরেকের চেয়ে স্ক্রু'র ব্যবহার অনেক বেশি সুবিধাজনক।

৮) নততল যত হেলানো হয় যান্ত্রিক সুবিধা তত কমে/ বাড়ে ?

উঃ বাড়ে

৯) প্রথম শ্রেণীর লিভারের দুটি উদাহরণ দাও।

উঃ


১০) দ্বিতীয় শ্রেণীর লিভারের দুটি উদাহরণ দাও।

উঃ


১১) তৃতীয় শ্রেণীর লিভারের দুটি উদাহরণ দাও।

উঃ


১২) আলম্ব কী ?

উঃ সরল যন্ত্রগুলি যে বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরতে পারে তাকে আলম্ব বলে।

জীববৈচিত্র্য ও তার শ্রেণীবিভাগ

১) প্রজাতি কাকে বলে ?

উঃ একই বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবকে প্রজাতি বলে।

২) মানুষের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি ?

উঃ হোমো সেপিয়েন্স।

৩) বাঘের বিজ্ঞানসম্মত নাম কি ?

উঃ প্যান্থেরা টাইগ্রিস 

৪) একটি ফানজাই রাজ্যের উদ্ভিদের নাম লেখ।

উঃ ব্যাঙের ছাতা 

৫) জীব ও জড় পদার্থের মাঝামাঝি অবস্থা হল _________।

উঃ ভাইরাস 

৬) আর্থ্রোপোডা পর্বের দুটি প্রাণীর নাম লেখ।

উঃ চিংড়ি, প্রজাপতি, কাঁকড়া ইত্যাদি।

৭) মোলাস্কা পর্বের একটি প্রাণীর উদাহরণ দাও।

উঃ শামুক , ঝিনুক

৮) অক্টোপাসের গমন অঙ্গের নাম কি ?

উঃ মাংসল পদ 

৯) উভচর পর্বের একটি প্রাণীর নাম লেখ।

উঃ ব্যাঙ 

১০) স্তন্যপায়ী পর্বের একটি প্রাণীর নাম লেখ।

উঃ মানুষ

১১) বিরূৎ জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে ?

উঃ যে সকল উদ্ভিদ লতিয়ে চলে এবং যাদের কাণ্ড কাষ্ঠল নয়, ডাল-পালা প্রায় নেই বললেই চলে, তাকে বীরূৎ জাতীয় উদ্ভিদ বলে।

যেমনঃ কুমড়ো, আলু ইত্যাদি।

১২) গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে ?

উঃ যে সকল উদ্ভিদ খুব বেশি লম্বা হয় না, কান্ড কাষ্ঠল কিন্তু অনেক ডালপালা আছে তাদের গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ বলে।

উদাহরণ - জবা 

১৩) কোন উদ্ভিদে মূল, কাণ্ড, পাতা, ফুল নেই ?

উঃ শ্যাওলা 

১৪) জলের রেশম বা ওয়াটার সিল্ক কি ?

উঃ এক ধরনের শ্যাওলা।

১৫) ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে ?

উঃ যে সকল উদ্ভিদের বীজগুলি বাইরে থেকে দেখা যায়, তাদের ব্যক্তবীজী বা জিম্নোস্পার্ম উদ্ভিদ বলে। 

যেমন - পাইন  

১৬) গুপ্তবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে ?

উঃ যে সকল উদ্ভিদের ফলের মধ্যে বীজ লুকিয়ে থাকে বাইরে থেকে বীজ দেখা যায় না তাদের গুপ্তবীজী বা অ্যানজিওস্পার্ম বলে।

যেমন - আম, কাঁঠাল ইত্যাদি।

১৭) কোন উদ্ভিদের পাতায় জালিকাকার শিরাবিন্যাস দেখা যায় ?

উঃ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের 

১৮) কোন উদ্ভিদের পাতায় সমান্তরাল শিরাবিন্যাস দেখা যায় ?

উঃ একবীজপত্রী উদ্ভিদ 

১৯) দই এর সাজায় কোন ব্যাকটেরিয়া থাকে ?

উঃ ল্যাকটোব্যাসিলাস 

২০) ব্রায়োফাইট কাদের বলে ?

উঃ মস জাতীয় গাছগুলিকে একসঙ্গে ব্রায়োফাইট বলে।

২১) উদ্ভিদ রাজ্যের শ্রেণীবিভাগ কর।

উঃ 


২২) শামুকের খোলক তৈরি হয়__________

 উপাদান দিয়ে।

উঃ চুন জাতীয় 

২৩) জবা পাতায় কোন ধরনের শিরাবিন্যাস দেখা যায় ?

উঃ জালিকাকার 

২৪) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর।

উঃ 

প্রাণের বাসস্থান ও আচরন বিজ্ঞান 

১) দুইজন আচরণ বিজ্ঞানীর নাম লেখ ।

উঃ চার্লস ডারউইন , আঁরি ফ্যাবা 

২) আচরণ বিজ্ঞান কাকে বলে ?

উঃ বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন জীবজন্তু, পোকামাকড়ের আচার-আচরণগুলি গবেষণা করে বিজ্ঞানের যে শাখায় লিপিবদ্ধ করেন তাকে আচরণ বিজ্ঞান বলে।

৩) বাঘেরা কিভাবে নিজের এলাকা চিহ্নিত করতে পারে ?

উঃ বাঘেরা মূত্রের মধ্যে ফেরমোন নামক এক প্রকার গন্ধক মিশিয়ে নিজেদের এলাকার চিহ্নিত করতে পারে।

৪) বাংলার কীটপতঙ্গ বইটি কার লেখা ?

উঃ গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য 

৫) উইপোকার খাবার কি ?

উঃ গাছের কাঠ অংশ, যাতে সেলুলোজ নামক শর্করা থাকে। সেলুলোজ মানুষ হজম করতে পারে না কিন্তু উইপোকারা পারে। কারণ তাদের পেটে এক ধরনের জীবাণু থাকে যা, সেলুলোজ হজম করতে পারে।

৬) নেকটার কি ?

উঃ ফুলের মধ্যে যে মিষ্টি রস থাকে তাকে নেকটার বলে।

৭) মৌমাছিকে সামাজিক জীব বলে কেন ?

উঃ মৌমাছিরা একা একা থাকে না, একসঙ্গে সবাই মিলে এক একটা পরিবার হিসাবে থাকে। তাই এদের সামাজিক জীব বলে।

৮) মৌচাক কি দিয়ে তৈরি ?

উঃ মোম দিয়ে 

৯) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণীর নাম কি ?

উঃ নীল তিমি

১০) হাতির শুঁড় তৈরি হয়েছে কিভাবে ?

উঃ হাতির নাক আর উপরের ঠোঁট জোড়া লেগে লম্বা হয়ে শুঁড় তৈরি হয়েছে।

১১) হাতি সমাজের নিয়ম কেমন ?

উঃ হাতি সমাজের নিয়ম খুব কড়া। পথ চলতে চলতে কোন হাতির বাচ্চা দলছুট হলে হাতির দল তাকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করে। কিন্তু যদি দেখে যে হারানো হাতি মানুষের কাছে আশ্রয় পেয়েছে, তবে তাকে আর কোনদিনই গ্রহণ করে না।

১২) শিম্পাঞ্জি ও মানুষের পূর্বপুরুষ কোন প্রাণী ?

উঃ বাঁদর জাতীয় প্রাণী।

১৩) কোথায় শিম্পাঞ্জি দেখা যায় ?

উঃ আফ্রিকার গভীর জঙ্গলে।

১৪) পরিযায়ী কাদের বলে ?

উঃ যারা শীত পড়লে শীতের দেশ থেকে গরমের দেশে চলে আসে। শীত কাটলে আবার সেখানে ফিরে যায় তাদের পরিযায়ী বলে।

১৫) দুটি পরিযায়ী পাখির উদাহরণ দাও।

উঃ বুনো হাঁস, খঞ্জনা, কাজল পাখি ইত্যাদ।

১৬) উইপোকা গর্তের ভেতরে বেশি থাকে, বাইরে আসতে চায় না কেন ? কিসের সাহায্যে এরা সেলুলোজ হজম করে ?

উঃ উইপোকা গর্তের ভেতরে বেশি থাকে,বাইরে আসতে চায় না কারণ বেশিক্ষণ রোদ তাপ লাগলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে শরীর শুকিয়ে যায়।

       উইপোকাদের পেটে একরকমের জীবাণু থাকে তার সাহায্যেই তারা সেলুলোজ হজম করতে পারে।

১৭) ফুলের পরাগ মিলনে কিভাবে মৌমাছি সাহায্য করে? কোন পিঁপড়ের দল মনিব ও কোন পিঁপড়ের দল সেবক হিসাবে পরিচিত ?

উঃ মৌমাছি এক ফুল থেকে অন্য ফুলে উড়ে গিয়ে পরাগযোগ ঘটায়।

         লাল পিঁপড়ের দল মনিব আর কালো পিঁপড়ের দল হিসাবে পরিচিত।

১৮) পাতিকার আর দাঁড়কাক কিভাবে চিনবে ?

উঃ পাতি কাকের ডানা, লেজ, গলা, মাথা, ঠোঁট চকচকে কালো কিন্তু ঘাড় আর পেট ছাই ছাই ধূসর রঙের। দাঁড়কাকের পুরো শরীর কুচকুচে কালো। পাতি কাকের থেকে আকারে বড় হয়।

১৯) কোন প্রাণী শিম্পাঞ্জিদের মতই বুদ্ধিমান ?

উঃ কাক 

২০) মশার জীবন চক্রে কয়টি দশা দেখা যায় ?

উঃ চারটি - ডিম, লার্ভা, পিউপা ও পূর্ণাঙ্গ ।

২১) ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়ায় কোন মশা ?

উঃ স্ত্রী এনোফিলিস 

২২) কোন মশার কামড়ে ডেঙ্গি জ্বর হয় ?

উঃ এডিস

২৩) মাছের শ্বাস অঙ্গের নাম কি ?

উঃ ফুলকা 

২৪) মাছের কোন অঙ্গ নৌকার হালের মত কাজ করে ?

উঃ লেজ

২৫) মাছকে জল ঠেলে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে কোন পাখনা ?

উঃ বক্ষ পাখনা 

২৬) সাপ কিভাবে গন্ধের টের পায় ?

উঃ সাপের চেরা জিপ দিয়ে বাতাসে ভাসা গন্ধের অনু মুখের ভেতর নিয়ে গন্ধ অনুভব করে।

২৭) কোন সাপ বাচ্চা প্রসব করে ?

উঃ চন্দ্রবড়া, মেটুলি

২৮) কোন প্রাণীর চোয়ালে ধারালো বড় ক্যানাইন বা শ্বদন্ত দাঁত থাকে ?

উঃ বাঘ

২৯) বাঘেরা অল্প আলোতে ভালো দেখতে পায় কেন ?

উঃ বাঘের চোখের রেটিনায় ট্যাপেটাম লুসিডাম নামক একটা বস্তু থাকে বলে বাঘেরা অল্প আলোতে ভালো দেখতে পায়। 

৩০) একটি স্তন্যপায়ী মাছের নাম লেখ।

উঃ তিমি

৩১) তিমি মাছের সাঁতার কাটা অঙ্গের নাম কি ?

উঃ ফ্লিপার

বর্জ্য পদার্থ 

১) জৈব ভঙ্গুর ও জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে ?

উঃ যে সকল বর্জ্য পদার্থ খুব তাড়াতাড়ি মাটিতে মিশে যায় তাদের জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ বলে।

যেমন - আনাজের খোসা 

              যে সকল বর্জ্য পদার্থ দীর্ঘদিন মাটিতে থাকার পরেও কোনরকম পরিবর্তন হয় না তাদের জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য পদার্থ বলে।

যেমন - পলিথিন, প্লাস্টিক 

২) 4R পদ্ধতি কি ?

উঃ আমাদের চারপাশে পড়ে থাকা নানা ধরনের বর্জ্য পদার্থ গুলিকে পুনরায় ব্যবহার করার জন্য যে পদ্ধতি নেওয়া হয় তা 4R নামে পরিচিত।

4R পদ্ধতি হল - রিডিউস (কমিয়ে আনা), রিফিউজ (প্রত্যাখ্যান),রিইউজ(আবার কাজে লাগানো), রিসাইকেল (পুনর্ব্যবহার)









Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)