Life science class -10 first summetive evaluation test

 First summative evaluation test 

              Life science 

   প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন 

                 দশম শ্রেণী 

      ____ SET - 1 _____



১) সঠিক উত্তরটি বেছে নাও।

১.১) লজ্জাবতী লতার পাতার চলন হল - 

ক) সিসমোন্যাস্টি              খ) নিকোটিন্যাস্টি 

গ) থার্মোন্যাস্টি                  ঘ) ফোটোন্যাস্টি 

উঃ ক) সিসমোন্যাস্টি

১.২) ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস হয় - 

ক) STH এর কম ক্ষরণে          খ) ACTHএর কম ক্ষরণে 

গ) ADH এর কম ক্ষরণে         ঘ) ADHএর বেশি ক্ষরণে 

উঃ গ) ADH এর কম ক্ষরণে 

১.৩) নাইট্রোজেনবিহীন উদ্ভিদ হরমোন হলো- 

ক) অক্সিন                      খ) জিব্বেরেলিন 

গ) সাইটোকাইনিন           ঘ) ইথিলিন 

উঃ খ) জিব্বেরেলিন

১.৪) মানুষের করোটির স্নায়ু সংখ্যা হল -

ক) ১০ টি                          খ) ১০ জোড়া

গ) ১২ টি।                         ঘ) ১২ জোড়া 

ঘ) ১২ জোড়া

১.৫) তীব্র আলোতে দেখতে সাহায্য করে - 

ক) রডকোষ                    খ) কোনকোষ 

গ) কঞ্জাংটিভা                  ঘ) সিলিয়ারি বডি 

উঃ খ) কোণ কোষ

১.৬) একটি মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে কোন কোষ বিভাজন পদ্ধতিতে ?

ক) অ্যামাইটোসিস                  খ) মাইটোসিস 

গ) মিয়োসিস                          ঘ) সবকটি 

উঃ গ) মিয়োসিস

১.৭) ইউরাসিল N² বেশ থাকে -
ক) DNA তে                             খ) RNA তে 

গ) দুটিতেই।                              ঘ) কোনটিই নয় 

উঃ খ) RNA তে

১.৮) এক প্রস্থ ক্রোমোজোম বিশিষ্ট কোষকে বলে -

ক) হ্যাপ্লয়েড                              খ) ডিপ্লয়েড 

গ) ট্রিপ্লয়েড                               ঘ) টেট্রাপ্লয়েড 

উঃ হ্যাপ্লয়েড

২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও (যে কোনো ন-টি ) 


২.১) প্রকরণ চলন কাকে বলে ?
উঃ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রসস্ফীতির দরুন উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে প্রকরণ চলন বলে।

২.২) ফটোট্যাকটিক চলন কাকে বলে ? 
উঃ আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ দেহের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তনকে ফটোট্যাকটিক চলন বলে। 

২.৩) IAA - এর পুরো নাম কি ?
উঃ হিন্ডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড 

২.৪) একটি নিউরোট্রান্সমিটারের নাম লেখ । 
উঃ অ্যাসিটাইল কোলিন।

২.৫) মধ্যমস্তিষ্কের দুটি অংশের নাম লেখ। 
উঃ টেকটাম ও সেরিব্রাল পেডাংকল।

২.৬) আইরিসের একটি প্রধান কাজ লেখ।
উঃ তারারন্ধ্রের সংকোচন ও প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করা।

২.৭) অটোজোম কাকে বলে ?
উঃ যে সমস্ত ক্রোমোজোম দেহজ বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে তাদের অটোজোম বলে।

২.৮) পলিসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম কাকে বলে ?
উঃ একের অধিক সেন্ট্রোমিয়ার যে ক্রোমোজোমে থাকে তাকে পলিসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম বলে।

২.৯) মিয়োসিস কোষ বিভাজন কোন কোষে সংঘটিত হয় ?
উঃ জনন মাতৃকোষে মিয়োসিস কোষ বিভাজন ঘটে।

২.১০) একটি হিস্টোন প্রোটিনের নাম লেখ।
উঃ হিস্টিডিন, লাইসিন, আরজিনিন 
 
২.১১) কাইনেটোকোর কাকে বলে ? 
উঃ ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত প্রোটিন নির্মিত চাকতিয মতো অংশটিকে কাইনেটোকর বলে।

৩. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (যে কোন চারটি


৩.১) ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে অক্সিন এর ভূমিকা লেখ


উঃ অক্সিন উদ্ভিদের ফটোট্রপিক এবং জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। কান্ডে অক্সিন আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বেশি মাত্রায় সঞ্চিত হয়ে ওই অঞ্চলের কোষগুলোর দ্রুত বিভাজন ঘটায়। ফলে উদ্ভিদের কান্ড আলোর উৎস দিকে বেঁকে যায়। মূল স্বল্প পরিমাণ অক্সিনে বেশি অনুভূতিশীল। মূলের ক্ষেত্রে আলোর উৎসের দিকে কোষগুলিতে অক্সিন এর উপস্থিতি খুবই কম। সেইজন্য ওই অঞ্চলের কোশ দ্রুত বিভাজিত হয়। ফলে মূল আলোর বিপরীত দিকে বেঁকে যায়।


৩.২) টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের সঠিক ক্ষরণ স্থান এবং কাজ লেখ।


উঃ টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণস্থান ও কাজঃ 

ক্ষরণস্থান :- শুক্রাশয় 

কাজ- 
ক) টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে পুরুষের প্রধান যৌনাঙ্গের এবং আনুষঙ্গিক যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে।

খ) পুরুষদের গৌণ যৌন লক্ষণ প্রকাশের সহায়তা করে।

গ) ইহা দেহে মৌল বিপাকীয় হার এবং প্রোটিন সংশ্লেষ বৃদ্ধি করে।
ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ স্থান এবং কাজঃ 
ক্ষরণ স্থান : ডিম্বাশয় 
কাজঃ 
ক) ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে নারীদের ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়। স্তনগ্রন্থিতে স্নেহদ্রব্য সঞ্চিত হয়। স্তন গুলির আকারে বৃদ্ধি পায় জরায়ুর আকৃতি বৃদ্ধি পায়। 
খ) ইস্ট্রোজেন নারীদের প্রোটিন সংশ্লেষ বৃদ্ধি করে।


৩.৩) অন্তর্বাহি স্নায়ু এবং বহির্বাহি স্নায়ু কাকে বলে ? 


উঃ অন্তর্বাহী স্নায়ুঃ
                  যে স্নায়ু রিসেপ্টর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা বহন করে তাকে অন্তর্বাহি স্নায়ু বলে।
যেমন - অপটিক স্নায়ু, অলফ্যাক্টরি স্নায়ু, অডিটোরি স্নায়ু।

বহির্বাহী স্নায়ুঃ
              যে স্নায়ু বার্তা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেক্টরে বহন করে তাকে বহির্বাহী স্নায়ু বলে।
 যেমন- অকিউলোমোটর স্নায়ু 


৩.৪) একনেত্র দৃষ্টি এবং দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলতে কী বোঝো ? 

উঃ যে দৃষ্টিতে দুটি চোখ দিয়ে আলাদা বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় এবং বস্তুর সঠিক আকার ও অবস্থান নির্ণয় করা যায় না তাকে একনেত্র দৃষ্টি বলে।
যেমন - ব্যাং, গরু ,ঘোড়া ইত্যাদি।

             যে দৃষ্টিতে দুটি চোখ দিয়ে একই বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় এবং বস্তুর সঠিক আকার ও অবস্থান নির্ণয় করা যায় তাকে দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলে ।
যেমন - মানুষ, বানর ,বাঘ ইত্যাদি।


৩.৫) অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে? এটি কোথায় সংঘটিত হয় ?

উঃ যে সরলতম প্রক্রিয়ায় কোন জনিতৃ কোষ নিউক্লিয় পর্দার অবলুপ্তি না ঘটিয়ে, ক্রোমোজোম ও বেমতন্তু গঠন ব্যতিরেকে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমে সরাসরি বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে, তাকে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন বলে।
স্থানঃ এই প্রকার কোষ বিভাজন ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, অ্যামিবা ইত্যাদি এককোষী জীবদেহে দেখা যায়।


৩.৬) জনুক্রম কাকে বলে ?

উঃ জীবের জীবনচক্রে রেনুধর জনু এবং লিঙ্গধর জনুর পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে জনুক্রম বলে।


৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষ্যণীয়) 


৪.১) উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার ন্যাস্টিক চলন উদাহরণ সহ বর্ণনা কর।

উঃ উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুসারে উদ্ভিদের প্লাস্টিক চলন প্রধানত চার প্রকারের হয়ে থাকে ।
ক) ফটোন্যাস্টিক চলনঃ
                      উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন আলোকের তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন তাকে ফটোন্যাস্টিক বা আলোক ব্যাপ্তি চলন বলে।
 যেমন - পদ্ম, সূর্যমুখী প্রভৃতি ফুল আলোর তীব্রতায় ফোটে আবার কম আলোতে মুদে যায়। 

খ) থার্মোন্যাস্টিক চলনঃ 
                    উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উষ্ণতার তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন এই ধরনের চলনকে থার্মোন্যাস্টিক বা তাপব্যাপ্তি চলন বলে।
 যেমন - পিউলিপ ফুলের পাপড়ি অধিক তাপে খোলে আবার কম তাপে মুদে যায়। 

গ) সিসমোন্যাস্টিক চলনঃ 
                    স্পর্শ, ঘর্ষণ, আঘাত, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি উদ্দীপকের তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের যে ন্যাস্টিক চলন হয় তাকে সিসমোস্টিক বা স্পর্শব্যপ্তি চলন বলে।
 যেমন - লজ্জাবতী লতার পাতা স্পর্শ করা মাত্র পাতার পত্রকগুলি নুয়ে পড়ে। 

ঘ) কেমোন্যাস্টিক চলনঃ 
                    কোন রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে উদ্ভিদ অঙ্গের যে চলন ঘটে তাকে কেমোন্যাস্টিক চলন বলে।
  যেমন - সূর্যশিশির উদ্ভিদের পাতার কর্ষিকাগুলি পতঙ্গের সংস্পর্শে আসা মাত্র বেঁকে গিয়ে পতঙ্গকে আবদ্ধ করে।


৪.২) একটি আদর্শ নিউরনের চিত্র অঙ্কন কর।

উঃ


৪.৩) মায়োপিয়া, হাইপারমেট্রোপিয়া ,প্রেসবায়োপিয়া এবং ক্যাটারাক্ট এর কারণ এবং ত্রুটি সংশোধন উল্লেখ কর। চোখের উপযোজন কাকে বলে ?


উঃ মায়োপিয়ার কারণঃ
                   চক্ষুগোলকের ব্যাস স্বাভাবিকের তুলনায় বর্ধিত হওয়ার ফলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে পড়ে। ফলে দূরের বস্তু দেখা যায় না। 
ত্রুটি সংশোধনঃ 
         অবতল লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করলে ত্রুটি দূর হয়। 

হাইপারমেট্রোপিয়া কারণঃ 
                    চক্ষুগোলকের ব্যাস স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট হওয়ায় বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার পিছনে পড়ে। ফলে কাছের বস্তু দেখা যায় না ।
ত্রুটি সংশোধনঃ 
           উত্তল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই রোগ সারে

প্রেসবায়োপিয়াঃ 
              লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কাছের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পায় না। 
ত্রুটি সংশোধনঃ 
              বাইফোকাল বা প্রগ্রেসিভ লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে ত্রুটি দূর হয়। 

ক্যাটারাক্টঃ 
           বেশি বয়স্ক লোকেদের লেন্স সম্পূর্ণভাবে অস্বচ্ছ হয়ে ওঠে । ফলে সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হয়। লোকটি সম্পূর্ণভাবে অন্ধ হয়ে যায়। 
ত্রুটি সংশোধনঃ 
           সার্জারি করে আক্রান্ত লেন্সটিকে চোখ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর হাই পাওয়ারের উত্তল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।

উপযোজনঃ 
         স্থান পরিবর্তন না করে অক্ষিগোলকের পেশি ও লেন্সের সাহায্যে যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, তাকে উপযোজন বা একোমডেশন বলে।


৪.৪) মাছের সন্তরণ পদ্ধতি এবং পাখির উড্ডয়ন পদ্ধতি বর্ণনা কর। 

উঃ মাছের সন্তরণ পদ্ধতিঃ 
                      মাছ প্রধানত পাখনা ও মায়াটোম পেশির সঞ্চালন ঘটিয়ে সাঁতার কাটে। মায়াটোম পেশির সংকোচন ও প্রসারণ ঘটিয়ে মেরুদন্ডকে দুপাশে আন্দোলিত করে। এরফলে মাছ ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। বক্ষ পাখনা ও শ্রেণী পাখনার মিলিত প্রয়াসে মাছ জলের নিচে ও উপরে ওঠা নামা করতে পারে। আবার জলের যে কোন তলে স্থিরভাবে ভেসে থাকতে পারে। পুচ্ছ পাখনার সাহায্যে মাছ গমনের সময় দিক পরিবর্তন করে। মাছের পটকা মাছকে জলে ডুবতে ও ভাসতে সাহায্য করে। 

পাখির উড্ডয়ন পদ্ধতিঃ 
                 পাখির উড্ডয়নে প্রধানত ডানা, পালক ও উড্ডয়ন পেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাখির অগ্রপথ ডানায় রূপান্তরিত হয়েছে। ডানাগুলি ক্রমশ উপর নিচে আন্দোলন করে পাখি উড়তে পারে। 
               পাখির সারা দেহ পালক দ্বারা আবৃত থাকে ‌। দুটি ডানার শেষ ভাগে ২৩ টি বড় পালক থাকে, যা পাখিকে উড়তে সাহায্য করে। আর পুচ্ছভাগে বারটি বড় পালক থাকে,যা উড্ডয়নের সময় দিক পরিবর্তনের সাহায্য করে। 
              পাখির বক্ষে স্টারনাম সংলগ্ন অঞ্চলে উড্ডয়ন পেশি থাকে। এই পেশিগুলি সংকুচিত হয়ে পালক আবৃত ডানাকে উপর থেকে নিচের দিকে টেনে আনে এবং উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করে। এইভাবে পেশিগুলির সংকোচন ও প্রসারণের ফলে পাখির ডানা দুটিকে অবিরাম প্রসারণ অবনমন এবং উত্তোলনের সহায়তা করে। এই ভাবেই পাখি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

৪.৫) একটি আদর্শ ক্রোমোজোমের ভৌত গঠন বর্ণনা কর।

উঃ একটি আদর্শ ক্রোমোজোমের অংশগুলি হল-ক) ক্রমাটিড খ) প্রাথমিক খাঁজ বা সেন্ট্রোমিয়ার গ) গৌণ খাঁজ ঘ) স্যাটেলাইট এবং ঙ) টেলেমিয়ার।
ক) ক্রোমাটিডঃ 
              ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্য বরাবর একজোড়া কুণ্ডলীকৃত অংশ থাকে তাদের প্রত্যেকটিকে ক্রোমাটিন বলে। প্রতিটি ক্রোমাটিড আবার দৈর্ঘ্য বরাবর আরো দুটি সুক্ষ তন্তূ নিয়ে গঠিত এদের ক্রোমনিমা বলে। 
খ) প্রাথমিক খাঁজ বা সেন্ট্রোমিয়ারঃ
                   ক্রোমোজোমের মাঝখান বরাবর যে খাঁজ থাকে তাকে প্রাথমিক খাঁজ বলে। এই প্রাথমিক খাঁজ অংশে যে ঘন অরঞ্জিত অংশ থাকে তাকে সেন্ট্রোমিয়ার বলে। সেন্ট্রোমিয়ারের দু পাশের ক্রোমোজোমের অংশকে ক্রোমোজোম বাহু বলে। সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত প্রোটিন নির্মিত অংশটিকে কাইনেটোকর বলে।
গ) গৌণ খাঁজঃ 
              ক্রোমোজোমের মুখ্য খাঁজ ছাড়াও ক্রোমোজোমের অপর কোনো খাঁজ থাকলে তাকে গৌণ খাঁজ বলে। 
ঘ) স্যাটেলাইটঃ 
             গৌণ খাঁজ যদি ক্রোমোজোমের টেলোনিয়ারের নিকট অবস্থান করে তাহলে টেলোমিয়ারটিকে সমব্যাস বিশিষ্ট ফোলা বাল্বের মত দেখায়, তখন তাকে স্যাটেলাইট বলে। স্যাটেলাইট যুক্ত ক্রোমোজোমকে স্যাট ক্রোমোজোম বলে।
ঙ) টেলোমিয়ারঃ 
                ক্রোমোজোমের দুই প্রান্ত দেশকে টেলোমিয়ার বলে।

৪.৬) উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের সাইটোকাইনেসিস বর্ণনা কর। মিয়োসিস কোষ বিভাজনের দুটি তাৎপর্য/ গুরুত্ব লেখো।

উঃ উদ্ভিদ কোষের সাইটোকাইনেসিসঃ 
                    নিউক্লিয়াস বিভাজনে টেলোফেজ চলাকালীন বেমের বিষুব অঞ্চলের মাঝবরাবর মাইক্রোফিলামেন্ট নামক সূক্ষ্ম তন্তু গুচ্ছাকারে জমা হয়ে ফ্রাগমোপ্লাস্ট গঠন করে, যা গলগি ভেসিকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে কোশপাত বা সেলপ্লেট গঠন করে। এই সেলপ্লেটের দুপাশে অন্যান্য বস্তু জমা হয়ে ভৌত রাসায়নিক পরিবর্তনের দ্বারা কোষ প্রাচীর গঠিত হয়। ফলে সাইটোপ্লাজম বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোষ গঠন করে। 
প্রাণী কোষের সাইটোকাইনেসিসঃ 
                      প্রাণীকোষের ক্লিভেজ পদ্ধতিতে সাইটোপ্লাজম বিভাজিত হয় কোষের মাঝবরাবর অঞ্চলের দুপাশ থেকে কোষপর্দা সংকুচিত হয়ে একটি ভাঁজ গঠিত হয়। বিপরীত প্রান্তের কোষ পর্দার ভাঁজ ক্রমশ ভিতরের দিকে বিস্তৃত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংলগ্ন হয়ে কোষের সাইটোপ্লাজমকে দুটি সমান অংশে বিভক্ত করে।
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের তাৎপর্যঃ 
ক) মিয়োসিসের ফলে ডিপ্লয়েড মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস পেয়ে হ্যাপ্লয়েড জনন কোষ সৃষ্টি হয়। দুটি হ্যাপ্লয়েড জনন কোষ মিলিত হয়ে পুনরায় ডিপ্লয়েড কোষ সৃষ্টি হয়।
খ) মিয়োসিসের ফলে ক্রোমোজোম সংখ্যার হ্রাস ঘটে প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা বংশপরম্পরা ধ্রুবক থাকে।
গ) মিয়োসিসের সময় দুটি নন সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে খন্ড বিনিময় ঘটার ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস ঘটে।
ঘ) মিয়োসিস কোষ বিভাজনের ফলে জনন মাতৃকোষে গ্যামেট উৎপাদন হয়।





.

Comments

Popular posts from this blog

কর্ভাস (Carvas)প্রফেসর শঙ্কুর ডায়রি

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা তারতম্যের কারণগুলি আলোচনা কর।

আদর্শ ফুলের গঠন চিত্র ( দশম শ্রেণী)